দিন দিন প্রযুক্তির উন্নতি সাধিত হচ্ছে। আজ থেকে ১০০ বছর আগে , এটা কল্পনা করা দুঃসাধ্য ছিল । তেমনই আজ থেকে ১০০ বছর পর প্রযুক্তি কোন পর্যায়ে যাবে সেটি প্রেডিক্ট করা খুব একটা সহজ নয়। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স কোন পর্যায়ে যায়, কে জানে!
**No spoiler**
Series: Westworld
language: English
Genre: Sci fi
imdb: 8.6/10
personal rating: 9/10
starring: Evan rachel wood, Sir anthony hopkins, Ed harris, Jeffrey wright, Thandiwen newton and so on.
ওয়েস্ট ওয়ার্ল্ড হলো একটি পার্ক। এটি যেনতেন কোনো পার্ক নয়। এখানে মানুষ যা ইচ্ছা করতে পারে। যেসকল ইচ্ছা মানুষ বাস্তব দুনিয়াতে পূর্ণ করতে পারেনা সেসব ইচ্ছা তারা এই পার্কে পূর্ণ করতে পারে। পার্কে অনেকগুলো চরিত্র থাকে। যেমনটা বিভিন্ন গেইমসে দেখা যায়। ওসব চরিত্র হলো এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইনটিলিজেন্স। তাদের হোস্ট বলা হয়। তাদের নিয়ন্ত্রন করে রবার্ট ফোরড এবং তার নিচে কাজ করা ইঞ্জিনিয়াররা। মানুষ সেই পার্কে যেয়ে হোস্টদের সাথে যা ইচ্ছা তাই করে। এক কথায় হোস্টরা তাদের কেনা দাসের মতো। কিন্তু হোস্টদের মেমোরি পরিষ্কার করা হলেও, তাদের মধ্যে সাবকনসিয়াসনেস থেকে যেতো। এই অবচেতন স্মৃতির প্রভাবে আস্তে আস্তে হোস্টরা তাদের আগের ঘটনা মনে করতে থাকে। যা ধীরে ধীরে এক রেভুলেশনের দিকে এগোতে থাকে। হোস্টদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন আসে ডোলোরেস এবং মিভের মধ্যে। তারা নিজের মাইন্ড নিজেই নিয়ন্ত্রন করা শুরু করে দেয়।
এআই কি নিজেদের নিয়ন্ত্রন করে মুক্ত করতে পারবে? মানুষ কিভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করবে? মানবসভ্যতার জন্য আসল হুমকি কে? ওয়েস্ট ওয়ার্ল্ড কি শুধুই পার্ক নাকি এর পিছনে লুকিয়ে আছে বড় কোনো সত্য? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে দেখতে হবে এই সিরিজটি।
Trailer:
সিরিজটি এক কথায় অসাধারণ। আজ পর্যন্ত কোনো সিরিজ কিংবা মুভি আমাকে এতোটা কনফিউজড করেনি। কে যে আসল ভিলেন আর কেইবা আসল হিরো সেটি বুঝতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। একটি চরিত্রকে আপনি প্রথম থেকে ভিলেইন মনে করতে থাকবেন, দেখা যাবে সিজন শেষে সে ই আসল হিরো। একেবারে মানুষের সাইকোলজির উপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে বিষয়টি।
উইলিয়াম চরিত্রটি যেভাবে রুপ নিয়েছে সেটি দারুন ছিল। এছাড়া ডোলোরেস, মিভ, বারনারড এমনকি শেষ পর্যন্ত ক্যালেভ ; সবার চরিত্র আপনাকে ২ বার ভাবতে বাধ্য করবে।
বিজিএম, সেট ডিজাইন, সিনেমেটোগ্রাফি ফাটাফাটি ছিল। মনে হবে যেন ভবিষ্যতের সফর করছি। ডলোরেস চরিত্রে ইভান র্যাচেল ঊড দারুন ছিলেন। তার চোখের অভিনয়, মুখে শান্ত অভিব্যক্তি কিন্তু আবার প্রতিবাদী মনোভাব ফাটাফাটি লেগেছে। এছাড়া স্যার এন্থনি হপকিংস তার চরিত্রে সুন্দর অভিনয় করেছেন।
সিরিজটি খুবই মনোযোগ দিয়ে দেখবেন দেখার সময়। আর কোনো দৃশ্য স্কিপ করবেন না। কেননা, তখন বর্তমান , অতীত, গুলিয়ে ফেলার সম্ভাবনা থেকে যায়। আর চরিত্রের গভীরতা বুঝতেও সমস্যা হবে।
যাদের সাই ফাই জনরা পছন্দ তাদের জন্য এটি মাস্ট ওয়াচ। তবে যারা জটিল প্লট এড়িয়ে যান, তারা এটি এড়িয়ে যাবেন। ৩ সিজনে ২৮ টি এপিসোড মুক্তি পেয়েছে। গড় লেন্থ প্রায় ১ ঘন্টা করে। শো' নির্মাতা জোনাথন নোলান এবং লিসা জয় এটি নিশ্চিত করেছেন যে এর সিজন ৪ আসবে। তাই সিজন ৪ এর জন্য অপেক্ষা রইল।
highly recommended.
#sadia_zannat_sete